Search This Blog

Krishna & Sudama Friendship


    k           “সখ্যুঃ প্রিয়স্য বিপ্রষেরঙ্গসঙ্গা্তিনির্বৃতঃ
           প্রীতো ব্যমুঞ্চদব্বিন্দূন্ নেএাভ্যাং পুষ্করেক্ষনঃ”
              
বন্ধু কে ? বন্ধু মানে কি ? আমরা কি বন্ধু ?
                                     বন্ধু বরুন কুমার রায়।(শিক্ষক)
                                              ওঁ নমঃ ভাগবতে বাসুদেবায়
       শ্রীকৃষ্ণ ছিল শ্রীসুদামার বন্ধু। একদিন শ্রীকৃষ্ণ পাঠ গ্রহন করতে সন্দিপন মুনির কাছে যাচ্ছিল শ্রীসুদামা সেদিন সন্দিপন মুনির কাছে পাঠ গ্রহনে যাচ্ছিল সুদামা ছিল একজন গরীব ব্রাহ্মণ তার পরনে ছিল একখানি ছিন্য কাপড় রাস্তায় যেতেযেতে তার পায়ে অনেক কাঁটা ঢুকেছিল।পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। হঠাৎ সুদামা রাস্তায় একখাদে পড়েযায়। শ্রীকৃষ্ণ ছুটে আসে সুদামাকে খাদ থেকে তুলে আনে রাস্তায় এবং দেখে সুদামার পা ফেটে গেছে অনেক কাঁটা পায়ে ফুটে আছে সেখান থেকে রক্তবের হচ্ছে। শ্রীকৃষ্ণ সেই কাঁটা হাতদিয়ে বার করার চেষ্টা করছে এবং হাতে জামায় রক্তের দাগ লেগে যাচ্ছে। সুদামা বলছে হে কৃষ্ণ তুমি কি করছো তো্মার জামা পোশাক সব নোংরা হোয়ে যাচ্ছে, তোমার পোশাক দেখে মনেহচ্ছে তুমি রাজার সন্তান, তুমি আমার পায়ে হাত দিলে আমার পাপ হবে গুরুদেবের কাছে শুনেছি সেই কাঁটা কৃষ্ণ হাত দিয়ে বের করতে পারে নি। দাঁত দিয়ে সেই কাঁটা কৃষ্ণ বের করেছিল। তোমাদের কোনো বন্ধু আছে যে পায়ের কাঁটা দাঁত দিয়ে বের করে দেবে। উত্তর বলবে না নেই। কারন এই জগৎ সংসারের সকল মানুষ চায় কাঁটা ফোটাতে, কেউ কাঁটা বের করতে চায়না।সবাই চায় তোমায় খাদে ফেলতে, কেউ খাদ থেকে তুলতে চায়না।
       এখান থেকে শ্রীকৃষ্ণ এবং সুদামা বন্ধু হয়। তারপর সুদামা একদিন পাঠ ভুলে গিয়েছিল গুরুদেব তাকে জংগলে কাঠ কুড়িয়ে আনার সাজা দিয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণ গুরুদেব কে বলেছিল যে সেও পাঠ ভুলে গেছে। গুরুদেব তাকে একই সাজা দিয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণ পাঠমুখস্ত থাকা সত্তেও বলেনি কারন সে তার বন্ধু কে একা একা জংগলে যাক সে তা চায়নি। এইভাবে বন্ধুত্ব চলতে থাকে কিন্তু একদিন শ্রীকৃষ্ণ এবং সুদামা টিফিনে ছোলা নিয়ে গিয়েছিল। সেইদিন সুদামার খুব খিধে পেয়েছিল সে নিজের টিফিনের ছোলা তো খেয়েছিল সংঙ্গে কৃষ্ণ কে না বোলে চুরিকরে কৃষ্ণের ছোলাও খেয়ে নিয়েছিল। তারপর কৃষ্ণ যখন জানতে পেরেছিল তখন কৃষ্ণ বলেছিলসুদামা তুমি আমার পরম বন্ধু তুমি জাননা যে না বলে অন্য কারোর কিছু খেলে বা কারোর ভাগের কিছু নিলে তার দারিদ্রতা আসে। তুমি দরিদ্র হবে কিন্তু যেদিন তুমি দারোকায় আসবে সেদিন তোমার দারি্দ্র চলে যাবে।
            তারপর সন্দিপন মুনির কাছে পাঠ শেষকরে যে যার বাড়ীতে চলেযায়।সুদামা বিবাহ করে সুশিলার(বসুন্ধ্ররা) সংঙ্গে তাদের তিন পুত্র সন্তান ছিল। সুদামা গরীব ব্রাহ্মণ সে ভিক্ষা করে সংসারে খরচ চালাত। কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে তাকে ভিক্ষা দেওয়া বন্ধ করেদেয়।সুদামার বাড়িতে একমুঠো চাল নেই, সন্তানদের পোশাক নেই, স্ত্রীর কাপড় ছিড়ে গেছে, নিজের গায়ের কাপড়খানিও ছেঁড়া ফুটো হয়েগেছে কিন্তু নুতন কেনার টাকা নেই। স্ত্রী সুশিলা তখন মনেকরিয়ে দেয় যে তার বন্ধু শ্রীকৃষ্ণ তো দারকার রাজা তার কাছে একবার যেতে তখন সুদামার মনে পড়ে কৃষ্ণ বলেছিলসুদামা তুমি আমার পরম বন্ধু তুমি জাননা যে না বলে অন্য কারোর কিছু খেলে বা কারোর ভাগের কিছু নিলে তার দারিদ্রতা আসে। তুমি দরিদ্র হবে কিন্তু যেদিন তুমি দারোকায় আসবে সেদিন তোমার দারি্দ্রতা চলে যাবে।
            সুদামা দারোকা যাবার জন্য তৈরি হলো কিন্তু কিছু তো নিয়ে যেতে হবে বন্ধুর সংঙ্গে দেখা করতে গেলে। যেমন আমরা আত্মীয় বাড়ি গেলে বা মন্দির বা যেখানেই যাই ফল, মিষ্টি বা ফুল বা টাকা বা অলঙ্কার বা কিছু নিয়ে যাই। এখানে সুদামার স্ত্রী সুশিলা পাশের বাড়ি থেকে চার মুষ্টি চিপিটক বা চাল এনে পুটলি বেঁধে দিলেন। সুদামা যাত্রা শুরু করলেন পায়ে হেটে। পথে যেতে গোমুথি নদী পার হতে গিয়ে নদীর পারে বসে কাঁদতে শুরু করলেন আর বলতে লাগলেন হে বন্ধু শ্রীকৃষ্ণ আমার কাছে তো পারের কড়ি নেই আমি পার হব কি করে।শ্রীকৃষ্ণ প্রাননাথ অন্তরযামি সে মাঝিরুপে যাটে নৌকা নিয়ে সুদামাকে পার করতে এলেন। সুদামা বলল আমার কাছে তো কড়ি নেই শ্রীকৃষ্ণ মাঝিরুপে বলল কড়ি নেই তো অন্যকিছু দাও সুদামা বলল আমার আছে দুঃখ, আছে চোখের জল ছাড়া আমার তো আর কিছু নেই।শ্রীকৃষ্ণ বলল আমায় তোমার সমস্ত দুঃখ, চোখের জল দাও আমি তোমায় নদী পার করে দেই।শ্রীকৃষ্ণ দুঃখ, চোখের জল নিয়ে সুদামাকে নদী পার করে দিল এই পৃথিবী্তে তোমার এমন কোনো বন্ধু আছে যে তোমার দুঃখ, চোখের জল নিয়ে আনন্দ দেবে।
            তারপর সুদামা পায়ে হেটে দারোকায় আসে। দারোকা হল সোনার রাজপ্রাসাদ সেখানে তার ছেড়া ফাটা কাপড় দেখে সবাই হাসাহাসি বিদ্রুপ করে। অনেক রাজা সোনা দানা মনি নিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা রত শ্রীকৃষ্ণের সংঙ্গে দেখা করার জন্য।সুদামা দুয়ারপাল কে বলল যে শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু শ্রীকৃষ্ণের সংঙ্গে দেখা করতে চায়। দুয়ারপাল প্রথম বিশ্বাস করেনি যে ত্রিলোক পতি শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু এই রকম এক গরীব ব্রাহ্মন। কিছুক্ষন পরে দুয়ারপাল ভিতরে শ্রীকৃষ্ণ কে বলে যে তার বন্ধু সুদামা এসেছে দেখা করতে। শ্রীকৃষ্ণ যে ভাবে যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে দৌড়োতে দৌড়োতে
এসে সখা সুদামাকে বুকে জড়িয়ে ধরল। তাকে ভিতরে নিয়েগিয়ে নিজের রাজ সিংহাসনে বসালো। রানীদের বলল আমি আমার বন্ধুর চরন যুগল ধুয়ে দেব তো জল পাত্র নিয়ে এস।রানীরা জল পাত্র আনতে গেল। আর এদিকে শ্রীকৃষ্ণ বন্ধু সুদামার ছিন্য পোশাক জিন্ন্য দশা দেখে ব্যথিত হয়ে চরন যুগল ধরে দেখছে পায়ের চারিপাশে ফেটে রক্ত ঝরছে কাঁটা ফুটে আছে শ্রীকৃষ্ণের চোখের জলে সুদামার চরন যুগল ধুয়ে গেল এই বিশ্ব সংসারে এমন বন্ধু পাওয়া কঠিন যে চোখের জলে চরন যুগল ধুয়ে দেবে। তারপর সুদামাকে শ্রীকৃষ্ণ রাজকীয় মর্জাদায় তাকে সন্মান দিয়েছিল। তার দুই মুঠ চাল নিয়ে সুদামাকে দুই লোকের সম্পত্তি দান করেছিল।  (সংক্ষিপ্ত করন)
                                         জয় শ্রীকৃষ্ণ, জয় গৌ্র, জয় জগৎ বন্ধু
                             (ত্রুটি থাকলে অধম কে মার্জনা করবেন)


No comments:

Heaven Of ENGLISH Studies

Sea Fever Questions & Answers

                                               Sea Fever 1. Name the poet and the poem from which this line has been taken.   Ans.   Th...